ফ্লোর প্রাইস ছাড়ার অপেক্ষায় কিছু ভালো কোম্পানি

স্কয়ার ফার্মার পর ভালো শেয়ার হিসেবে বিবেচিত আরও কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দরসীমা থেকে বের হওয়ার চেষ্টায় আছে। এর অন্যতম এমজেএল বাংলাদেশ, বিএসআরএম স্টিল, ক্রাউন্ট সিমেন্ট, ইবনে সিনা ও এসিআই ফর্মুলেশন।

 

সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এ ধরনের কিছু কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা এর থেকে সামান্য বেশি মূল্যে যে পরিমাণ শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল, তার মোট মূল্য ছিল কোম্পানিভেদে ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ক্রেতা না থাকলেও শেয়ার বিক্রি করতে মরিয়া শেয়ারহোল্ডারের সংখ্যা কমেছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো ফ্লোর প্রাইস থেকে বের হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

 

অবশ্য গ্রামীণফোন, বিএটি বাংলাদেশ, রবি, রেনাটা, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন, সাবমেরিন কেবলস, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, এসিআই লিমিটেড, ওয়ালটনসহ অনেক শেয়ার এখনও ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। প্রতিদিনই এসব কোম্পানির ৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ থাকছে।

 

গতকাল লেনদেনের মাঝে তালিকাভুক্ত ৩৯৩ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২০১টি ফ্লোর প্রাইসে কেনাবেচা হয়। শেষ পর্যন্ত আগের দিনে ফ্লোর প্রাইসের সামান্য ওপরে কেনাবেচা হওয়া ১০ কোম্পানি ও এক মিউচুয়াল ফান্ড ফের ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে। বিপরীতে দুই শেয়ার ও একটি মিউচুয়াল ফান্ড ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়েছে। ফ্লোরে পড়ে থাকা শেয়ারগুলোর কমপক্ষে ১ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল মোট ১১১ শেয়ারের। এর বিপরীতে এমজেএল বাংলাদেশের শেয়ার সর্বনিম্ন ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৮৭ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। শেয়ারটির ফ্লোর প্রাইস ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। শেষ পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইসে নেমে এলেও এর আগে ২২ হাজার ২৬২ শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ছিল ১৯ লাখ টাকা। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের প্রায় পুরোটা সময়ে শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় বেশি দরে কেনাবেচা হয়েছিল।

 

 ১ লাখ টাকারও কম শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল বিএসআরএম স্টিল, বিএসআরএম লিমিটেড ও ক্রাউন সিমেন্টের। ইবনে সিনার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল ১৩ লাখ টাকার। এসিআই ফর্মুলেশনের ছিল ২৪ লাখ টাকার। গত মাসেও প্রতিদিনই এসব কোম্পানির ২ থেকে ১০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ থাকত।

 

গতকালের লেনদেনে ফ্লোর প্রাইসে ব্যাংক খাতের অনেক শেয়ারের ক্ষেত্রে বিক্রির আদেশ কমতে গেছে। এর অন্যতম ডাচ্‌-বাংলা, শাহজালাল, ঢাকা, স্ট্যান্ডার্ড, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী, ইস্টার্ন স্যোসাল ইসলামী, উত্তরা ব্যাংক।